মুভির নাম শুনে অনেকেই হয়তো ভেবে নিচ্ছেন, দেব এর বহুল আলোচিত “চাঁদের পাহাড়” মুভির রিভিউ নিয়ে এসেছি আপনাদের সামনে। কিন্তু না, আজকে আমি আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব বব র্যাফেলসন পরিচালিত ১৯৯০ সালের সাড়া জাগানো মুভি ” মাউন্টেনস অফ দ্যা মুন ” এর সাথে।
ছবিটির প্লট তৈরি হয়েছে ১৮৫৭-৫৮ সালে ক্যাপ্টেন স্যার রিচার্ড ফ্র্যানসিস বারটন এবং জন হ্যানিং স্পেকের মধ্য আফ্রিকায় অভিযানের উপর। মূলত এটি বিখ্যাত লেখক উইলিয়াম হ্যারিসন এর “বারটন এন্ড স্পেক” বইয়ের ফিল্ম রুপ।
মুভিতে বারটন এবং স্পেকের মধ্য আফ্রিকায় মাসাধিক সময় ধরে নীল নদের উৎস সন্ধানের একাধিক অভিযানের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আফ্রিকার বিভিন্ন বুনো প্রান্তরে পায়ে হেটে বিভিন্ন আফ্রিকান পশুপাখি, কীটপতঙ্গ এবং গাছপালা চোখে দেখার প্রথম ভাগ্যবান ইউরোপিয়। অনেক আদিবাসী গোত্র এবং হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা তাঁদের সংস্কৃতি প্রত্যক্ষ্য করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের কষ্ট, ত্যাগ বন্ধুত্ত এবং মাসের পর মাস ধরে কঠিন অভিযানের চিত্র মুভিটায় খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
মাউন্টেনস অফ দ্যা মুন এমন একটা মুভি যা সত্যকে এক বিন্দুও বিকৃত করেনি। ছবিটা দেখতে দেখতে আপনার মনে হবে আপনিও অভিযাত্রী দলের সাথে আফ্রিকান বুনো প্রান্তরে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। একটি বাস্তবসন্মত অভিযানের স্বাদ এই মুভিটায় পাওয়া যায়। ছবিটির সবচেয়ে বড় সার্থকতা হচ্ছে, ছবির শেষে দর্শকদের মনে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, যে নীল নদের উৎসের সত্যিকারের আবিষ্কারক আসলে কে?